মিসেস সিতারা জাহান

J.D.C ,B.A. B.Ed. M.A .
সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ক্রীড়া (সাবেক)
পাইলট গালর্স হাই স্কুল, শৈলকুপা
ও
স্বর্ণকুটির, কোর্টপাড়া, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ
(১৯৯৯- শেষ পর্যন্ত)

মিসেস সিতারা জাহান জন্ম গ্রহণ করেন ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় ৭ই ফেব্র“য়ারী ১৯৫৪ ইং সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা- মৃত, ডাঃ এস,এম, এ করিম ছিলেন সেই সময়ের নামকরা চিকিৎসক। কলকাতা থেকে ১৯২৬ সালে L.M.F ডিগ্রী অর্জন করে কালিগঞ্জ এ চিকিৎসক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার চিকিৎসার খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। মাতা মৃত, রিজিয়া বেগম চমৎকার মনের আদর্শ মা। যার মাতৃত্বের মমতা দিয়ে সন্তানদের বড় করে তোলেন।

অর্থবিত্ত মান সম্মান কোন কিছুরই অভাব ছিল না আমার এই শাশুড়ী আম্মা মিসেস সিতারা জাহান এর শৈশব ও কিশোর কাল কাটে এই কালীগঞ্জে। ১৯৭০ইং সালে কালীগঞ্জ আব্দুল্লাহ আমিনা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হতে ২য় বিভাগে S.S.C পাশ করেন। ১৯৭২ ইং সালে কালীগঞ্জ মাহাতাব উদ্দীন মহা-বিদ্যালয় হতে ২য় বিভাগে H.S.C সম্পন্ন করেন। ১৯৭৬ ইং সালে জুনিয়র ডিপ্লোমা কোর্স ক্রীড়া (JDC) ২য় বিভাগে সম্পন্ন করেন, ১৯৮৭ সালে ঝিনাইদহ কে,সি কলেজ হতে B.A কোর্স ৩য় শ্রেণীতে পাশ করেন এবং ১৯৯৩ ইং সালে যশোর টিটি কলেজ হতে B.Ed. কোর্স ২য় শ্রেণীতে সম্পন্ন করেন। সর্বশেষে ১৯৯৪ ইং সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাষ্টবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ডিগ্রী ২য় বিভাগে M.A সম্পন্ন করেন।

মিসেস সিতারা জাহান ১৮ই মে ১৯৭২ সালে মোঃ গোলাম রব্বানীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭১ সালে দেশ বিভক্তের পর প্রচন্ড প্রতিকুলতার মাঝে ১লা জুলাই ১৯৭৫ ইং মিসেস সিতারা জাহান শৈলকুপা পাইলট গালর্স হাই স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা (ক্রীড়া) পদে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ১লা অক্টোবর ২০০৫ ইং তারিখে একই স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ পান এবং সর্বশেষ ০৭ই ফেব্র“য়ারী ২০১৪ ইং তারিখে অবসরে চলে যান।

মিসেস সিতারা জাহান, কুমারী মনে স্বপ্ন প্রয়াস রচনা করেছিলেন ‘কন্যা সন্তানের জননী’ হবার ও তাকে উচ্চ শিক্ষায় গড়ে তোলার। বিধাতা তার সে সাধ পুরণ করেছিলেন। শক্তি দিয়েছেন নিজের সুখ বিসর্জনের মাঝে সন্তানকে লালন পালন করার। তাই তার প্রথম ও

বড় সন্তান প্রকৌ: জাহান-ই-শবনম, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক BIT) হতে B.Sc. Engr (Mech) ডিগ্রী সম্পন্ন করে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (XEN) দায়িত্বে কর্মরত রয়েছেন। আর এক মাত্র ছেলে প্রকৌ: সরোয়ার-ই-মোর্শেদ B.Sc Engr (Civil) ডিগ্রী অর্জন করে Design Engr হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে। দুই ছেলে মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় ও সমাজের নীতি নির্ধারকের অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে সমাজ তাকে “রতœাগর্ভা” উপাধিতে আখ্যায়িত করেছেন- যাহা সত্যই প্রশংসার দাবীদার।

আজ এ শেষ জীবনের পরিতৃপ্তি ও প্রশান্তি বয়ে এনেছে মাতৃত্ব জন্ম সার্থক চিন্তায় যে উন্নত মনের একটি সুপাত্রে প্রকৌ: মাহমুদ আলম এর নিকট একমাত্র সুখে ও সযন্তে রাখতে পেরেছেন। গর্ভ ধারনী মা হয়ে আমাদের প্রতি আশির্বাদ। “সংসার জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে কোমল মনের পরিচয়  দাও: প্রতিটি মূহুর্তের যেন নব পরিনীতা সাজে সুখ দুঃখের সাথী হয়ে জীবনকে উপলব্ধি করো।”
কারণ বিশাল এ ধরিত্রীতে আমাদের মত মনের মানুষের পুজারী। দেবতার মত উদার হয়ে দেবীর মত সেবার মন দিয়ে ব্যবহার করতে শিখো উভয় উভয়কে। চরম চাওয়াকে পরম পাওয়া মনে করে তুষ্ট থেকো। আমাদের প্রতি তার দোয়া অনাবিল সুখ আর শান্তিতে গড়ে উঠুক কাঙ্খিত জীবন ও ভবিষ্যৎ কর্মকান্ড। বড় হবার স্বপ্ন সার্থক হয়ে ভরে উঠুক, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন।